এককালে শ্রীমঙ্গলসহ সিলেটের এ অঞ্চল বহুদিন ত্রিপুরা রাজার অধীনে থাকায় ত্রিপুরা রাজার স্মৃতি ও ঐতিহ্য আজও কালের সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য বহন করছে। তেমনি ত্রিপুরা রাজার রাজত্বকালে শ্রীমঙ্গল শহরে স্থাপিত কাচারিবাড়ি আজও কালের সাক্ষী হয়ে আছে। ত্রিপুরা মহারাজার কাচারিবাড়িটি বর্তমানে শ্রীমঙ্গল উপজেলা ভূমি অফিস। ভূমি অফিসের অভ্যন্তরে শতাব্দী প্রাচীন এই কাচারিবাড়িটি এখন উপজেলা ভূমি অফিস রক্ষণাবেক্ষণ করছে।


শ্রীমঙ্গলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নুরুল হুদা জানান, ত্রিপুরা রাজার কাচারিবাড়িটি ১.৬৭ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে শতাব্দি প্রাচীন একটি পাকা ভবন রয়েছে। শান বাধানো ঘাটসহ পুকুর আছে একটি। তিনি আরো জানান, ঐতিহাসিক কাচারিবাড়িটি ঐতিহ্যবাহী হিসেবে সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।


তাৎক্ষণিক সেবা কেন্দ্র হিসেবে এখানে একটি দৃষ্টিনন্দন গোলঘর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নুরুল হুদার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নির্মিত হয়েছে। যা গত ৯ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো: কামরুল হাসান আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ২০১৪ সালে মহারাজার এ কাচারিবাড়িটি সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করে


কর্তৃপক্ষ।


প্রবীন শিক্ষক দ্বীপেন্দ্ৰ ভট্টাচাৰ্য্য জানান, ১৮৯৬ সালে এক ভূমিকম্পে এ অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হলে মোতিগঞ্জের সদর দপ্তর বিলাসছড়ার হুমকির মুখে পতিত হলে শ্রীমঙ্গলে স্থানান্তর করা হয়। ওই সময়ে শ্রীমঙ্গল শহরের হবিগঞ্জ সড়কে কাচাড়িবাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন ত্রিপুরা মহারাজা। তৎকালীন সময়ে মহারাজার পদস্থ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা শৈলেন্দ্র গুহ শ্রীমঙ্গল অঞ্চলের খাজনা আদায়ের জন্য সহকারী এস্টেট ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এ কাচারিবাড়িতে তখন খাজনা আদায় হত।