নেক কাজ করার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে-আল্লাহ তা‘আলাকে সন্তুষ্ট করা ও আখিরাতের সুখ লাভ করা এবং পাপকাজ হতে বেঁচে থাকার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আখিরাতের আযাব ও খোদার গযব হতে মুক্তিলাভ করা। কিন্তু আজকাল সাধারণত লোকেরা দুনিয়ার লাভ লোকসানটাকেই বেশি বুঝে। তাই পাপ করলে দুনিয়াতে কি কি ক্ষতি হয় এবং নেক কাজ করলে দুনিয়াতে কি কি লাভ হয়, তার কিছু বর্ণনা এখানে দেয়া হল। আশা করা যায় যে, লোকেরা অন্তত দুনিয়ার লাভের আশায় কিছু নেক কাজ করবে এবং দুনিয়ার লোকসানের ভয়ে পাপ কাজগুলো ত্যাগ করবে।


পাপ করার দরুন যেসব ক্ষতি হয় তা নিম্নরূপঃ


১. দ্বীনী ইলম হতে মাহরূম ও বঞ্চিত থাকতে হয়। 


২. কামাই রোযগারের বরকত উঠে যায়। 


৩. খোদার প্রতি মুহাব্বত থাকে না। 


৪. সৎলোকের কাছে যেতে ইচ্ছা হয় না। 


৫. কাজে-কর্মে অনেক বাধা-বিঘ্ন এসে পড়ে। 


৬. অন্তর কাল হয়ে যায়। 


৭. হৃদয়ের বল থাকে না। 


৮. নেক কাজ হতে মাহরূম থাকতে হয়। 


৯. হায়াত কাটা যায়। 


১০. এক গুনাহের পর অন্য গুনাহ সংঘটিত হতে থাকে, তওবা করবার ইচ্ছা ক্রমশ কমজোর হতে থাকে। 


১১. কিছু দিন পর পাপের প্রতি যে একটা ঘৃণা ছিল, সেটাও চলে যায়। 


১২. মন্দ কাজে নমরূদ, শাদ্দাদ, ফিরআউন, আবু জাহল প্রমুখ আল্লাহর দুশমনদের উত্তরাধিকারী ও সহগামী হতে হয়। 


১৩. আল্লাহর নিকট মান-সম্মান কিছুই থাকে না। 


১৪. অন্যান্য জীবজন্তু পাপের দরুন কষ্ট পেয়ে পাপীর প্রতি লা‘নত করে। 


১৫. জ্ঞান-বুদ্ধি হ্রাস পেতে থাকে। 


১৬. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বদ দু‘আর ভাগী হতে হয়। 


১৭. ফেরেশতাদের নেক দু‘আ হতে মাহরূম থাকতে হয়। 


১৮. দেশের শস্য-ফসলাদিতে বরকত থাকে না। 


১৯. শরম-ভরম চলে যায়। 


২০. আল্লাহ তা‘আলার ভক্তি অন্তর হতে উঠে যায়। 


২১. আল্লাহর নেয়ামত হতে মাহরূম হয়ে যায়। 


২২.বালা-মুসীবত নাযিল হয়। 


২৩. তাঁকে প্রশংসাস্থলে নিন্দা করা হয়। 


২৪. শয়তান তার চিরসাথী হয়ে যায়। 


২৫. তার দিল পেরেশান থাকে। 


২৬. মৃত্যুকালে তার মুখ দিয়ে কালিমা বের হয় না। 


২৭. খোদা তা‘আলার রহমত হতে নিরাশ হয়ে অবশেষে তাওবা ব্যতিরেকেই তার মৃত্যু হয় ইত্যাদি।

আমাদের TopTime এর সাথেই থাকুন আল্লাহ হাফেজ।