গ্রিস্মকালের এই তিনটি ফলের গুনাগুন আপনার জানান বাহিরে।

গ্রিস্মকালের এই তিনটি ফলের গুনাগুন আপনার জানান বাহিরে।



পৃথীবিতে আল্লাহ তায়ালা আমাদের নিত্য দিনের জন্য, বিভিন্ন ধরনের খাবার ব্যবস্থা করে রেখেছেন এবং তার সাথে বিভিন্ন ফলমুলও দিয়েছে, যেমন আমারা বিভিন্ন ঋতুতে অনেক ধরনের ফল খেয়ে থাকি, তার থেকে গ্রীস্মকাল এই তিনটি ফল খুবই প্রীয় ও সুস্বাদু। Toptime এর আজকের এপিসোডে। এই তিনটি ফলের গুনগান তুলে ধরবো, ইনশাআল্লাহ।

১ঃ আমের গুননা বলি।

আম এমন একটি ফল পচন্দ করেনা এমন কেউনাই ৬৪৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এ অঞ্চলে ভ্রমণে এসে বাংলাদেশের আমকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত করেন। বাংলাদেশের মানুষ গ্রীষ্মের দুঃসহ গরম, দরদর ঘাম, সব কিছুর পরেও এ ঋতুর জন্য আমজনতার অপেক্ষার অন্যতম কারণ আম। ফজলি থেকে ল্যাংড়া,গোলাপখাস থেকে হিমসাগর, যেমন গন্ধ, তেমনই তার স্বাদ বাংলার এই বিপুল আমসাম্রাজ্য বহু শতক ধরে বয়ে আনছে এর আভিজাত্য।

আমে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ফলিক অ্যাসিড থাকে, যা গর্ভবতীদের জন্য ও গর্ভে থাকা শিশুর জন্য বেশ উপকারী। আমে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ফলিক অ্যাসিড থাকে, যা গর্ভবতীদের জন্য ও গর্ভে থাকা শিশুর জন্য বেশ উপকারী। বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তর বংঙ্গে বিভিন্ন জেলায় বৈশাখ জৈষ্ঠ্য মাসে আমের রাজ্য হয়ে উঠে

১ঃ কাঁচা আমের রস, রোদে পোড়া দাগ দূর করে এবং মুখের ব্রন দূর করতে সাহায্য করে।
২ঃ শরীর ফিট রাখে, দেহের শক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ক্ষয়রোধ করে।
৩ঃ বিশেষ করে স্তন, লিউকেমিয়া, কোলন প্রোস্টেট ক্যান্সারের মত মারাত্মক ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৪ঃ হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
৫ঃ আম পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মানকে ভালো রাখে।
৬ঃ উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন এর উপস্থিতি যা জীবাণু থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়।
৭ঃ পুরুষের যৌনশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
লিভারের সমস্যায় কাঁচা আম বেশ উপকারী সন্তান সম্ভবা নারীর আয়রনের ঘাটতি পূরণে আম বেশি উপকারী
৮ঃ কাঁচা আম দেহের শক্তি শরীরের এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৯ঃ আম চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে
১০ঃ পাকা আমে খনিজ লবণের উপস্থিতি দাঁত, নখ, চুল ইত্যাদি মজবুত করতে সাহায্য করে।
১১ঃ পাকা আম ত্বকের বিশেষ করে মুখের ও নাকের উপর জন্মানো ব্ল্যাকহেড দূর করতে সাহায্য করে।
১২ঃ দেহে নতুন রক্ত তৈরি, রক্তপাত রোধ করা এবং রক্ত পরিস্কারে সহায়তা করে।
১৩ঃ আম শরীরের রক্তে কোলেস্টেলের মাত্রা কমায় এবং আমাদের হার্টকে সুস্থ ও সবল রাখে।
১৪ঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপস্থিতির কারনে শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
১৫ঃ আমে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ফলিক অ্যাসিড থাকে, যা গর্ভবতীদের জন্য ও গর্ভে থাকা শিশুর জন্য বেশ উপকারী।
আমে প্রচুর পরিমাণে এসিড থাকে যেমন- টারটারিক এ্যাসিড, ম্যালিক এ্যাসিড ও সাইট্রিক এ্যাসিড। ভিটামিন এ, প্রোটিন সহ আরও অন্যান্য।

২ঃ কাঠালের গুননা বলি।

গ্রামের প্রত্যেকটা বাড়িতে আম গাছের তুলনায় যদিও কাঁঠাল গাছের সংখ্যাটা একটু কম। তবে আমের থেকে কাঠালের সাধ কোনো ভাবেই কম নয়, ঘ্রানযুক্ত এবং পর্যাপ্ত সুস্বাদু ও ক্যলোরি। আরো আছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, বি-১, বি-২, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। নিচে কাঠালের বিভিন্ন গুনাগুন ধরা হলো।

১ঃ কাঁঠালে সামান্য পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কাঁঠালে ১.৮ গ্রাম, কাঁচা কাঁঠালে ২০৬ গ্রাম ও কাঁঠালের বীজে ৬.৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এই প্রোটিন দেহের গঠনে সাহায্য করে। কাঁঠালে রয়েছে শ্বেতসার। 

২ঃ কাঁঠাল ফাইবারসমৃদ্ধ ফল হওয়ায় হজমশক্তি বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে।

৩ঃ কাঁঠালে আয়রন থাকে, যা রক্তে লোহিতকণিকার পরিমাণ বাড়ায়। রক্তাল্পতায় রোগীদের জন্য কাঁঠাল খুবই উপকারী।

৪ঃ কাঁঠালের অন্যতম উপযোগিতা হল ভিটামিন সি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে ভিটামিন “সি”।
৫ঃ গর্ভবতী মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থসন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়।
৬ঃ চর্মরোগের সমস্যা সমাধানেও কাঁঠালের শেকড় কার্যকরী। জ্বর এবং ডায়রিয়া নিরাময় করে কাঁঠালের শেকড়।
৭ঃ ছয় মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ হয়।

৩ঃ লিচুর গুননা বলি

গ্রীষ্মকালের মিষ্টি, সুস্বাদু ও রসালো ফলের আরেক নাম লিচু। আমাদের দেশে যত ধরনের ফল বাজারে আসে, তার থেকে একটু ভিন্ন লিচু অনান্ন্য ফলের থেকে লিচুর দামটাও একটু চওড়া হয়।  পাকা আমের সঙ্গে রসালো টসটসে লিচু আমাদেরকে আকৃষ্ট করে। এসব দেশি ফল যেমন মুখরোচক সঙ্গে রয়েছে।

১ঃ লিচুতে রয়েছে খাদ্য হজমকারী আঁশ, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমায়। এতে অবস্থিত ফ্ল্যাভানয়েডস নামক উপাদান স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
২ঃ লিচুর জলীয় অংশ শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন 'সি'-এর পরিমাণ কমলালেবুর তুলনায় ঢের বেশি।

৩ঃ  ১০০ গ্রাম লিচুতে শক্তির পরিমাণ ৬৬ কিলোক্যালরি, শর্করা ১৬.৫৩ গ্রাম, প্রোটিন ০.৮৩ গ্রাম, চর্বি ০.৪৪ গ্রাম, আঁশ ১.৩ গ্রাম। সেই সঙ্গে লিচু অসংখ্য ভিটামিন আর মিনারেলে সমৃদ্ধ।
৪ঃ ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে, তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের পরিমিতভাবে লিচু খাওয়া উচিত৷  সুস্থ হাড়ের জন্য লিচু অতি প্রয়োজনীয়।  যারা হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য ওষুধের বিকল্প। আজকের এপিসোড এতটুকুই, পরবর্তী এপিসোডের জন্য আমাদের TOPTIME এর সাথে থাকুন আল্লাহ হাফেজ।



Post a Comment

0 Comments