যে জাতির হাতে কুরআনের মতো কিতাব আছে এবং রাসুল ট-এর হাদিসের মতো হাদিস আছে, সে জাতির নিরাশ হওয়া সত্যিই খুব আশ্চর্যজনক।

যে জাতির পেছনে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে, যে জাতির মাঝে জন্ম নিয়েছেন শত শত বীরপুরুষ, সে জাতি কী করে হতাশ হতে পারে? যে মুসলিম জাতির কাছে আছে অতুলনীয় শক্তিমত্তা ও ধনভান্ডার, সে জাতি কখনো আশাহত হতে পারে না। নিরাশা, হতাশা, আশাহীনতা কখনোই এ জাতির শান হতে পারে না। এ জন্যই তো মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন :

ومن يقنط من رحمة ربه إلا الضالون

‘পথভ্রষ্টরা ছাড়া আর কে তার প্রতিপালকের অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়?

কিন্তু বর্তমান সময়ে বাস্তবতা ঠিক তার উল্টো। বর্তমানে মুসলিমদের ওপর আশাহীনতা, স্বপ্ন না দেখা এবং লক্ষ্য উদ্দেশ্যে অধঃপতনের মহা বিপর্যয় আপতিত হয়েছে। এটি এমন এক ভয়াবহ বিপর্যয়, যার উপস্থিতিতে পরিত্রাণের আশা করা যায় না।

তাহলে বোঝাই যায়, নিশ্চয়ই এখানে মুসলিমদের হৃদয়ে এমন কিছু অনুপ্রবেশ করেছে, যেটাকে দুর্বল হৃদয় অনেক বড় কিছু মনে করে বসেছে। এ সুযোগে সে তাদের হৃদয়ে

সুকৌশলে রোপণ করে দিয়েছে হতাশার বীজ। ফলে তারা পরাজয়ের শিকল ভেঙে ফেলে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার সাহস করতে পারে না। রাজ্যের নৈরাশ্য এসে তাদের পথ আগলে দাঁড়িয়ে যায়।

কী সে বিষয়, যা আমাদের হতাশার জিঞ্জিরে বেঁধে রেখেছে? কেন আমরা পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার মুক্ত বাতাসের স্বাদ নিতে পারছি না? কেন আমাদের এই অধঃপতন? আমাদের পূর্বসূরিদের সংগ্রাম, নেতৃত্ব ও মর্যাদার আসন...কীভাবে আমরা পুনরুদ্ধার করব? চলুন, প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করি :

আমাদের এই অধঃপতিত পরিস্থিতিতে পৌঁছানোর বেশ কয়েকটি কারণ আছে যেগুলোকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করতে পারি :

ক. মুসলিমদের দ্বীনের প্রতি উদাসীনতা, আল্লাহর মানহাজ থেকে সরে আসা, আল্লাহর প্রিয় শাসনব্যবস্থা খিলাফাহকে তুচ্ছ অথবা এ যুগে অচল মনে করা এবং আল্লাহর শত্রুদের সাথে মিত্রতা করা।

খ. একটি জঘন্য চক্রান্ত, যা বহু বছর ধরে বোনা হয়েছে এবং উম্মাহর শত্রুদের বিভিন্ন সম্প্রদায় এটির পরিকল্পনায় সহযোগিতা করেছে। TOPTIME ব্লগারে আপনাকে স্বাগম


#মুসলিমইতিহাস #মুসলমানদেরহতাসা