আমি ইসলামের খুঁটি।

আমি ইসলামের খুঁটি।

#ইসলামের ইতিহাস,

রোমান সম্রাট তার একান্ত দুই সাহসী সেনাপতি কুলুস বিন হানা ও আযাযীরের নেতৃত্বে বাহিনী গঠন করে পাঠাল। তার একান্ত কামনা ছিল,


মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করে তাদের আরব নেতাকে হত্যা করা। উভয় দল মুখোমুখী হলো। আরব অশ্বারোহী হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রাখি, আপন মহিমায় অশ্ব-পৃষ্ঠে আরোহণ করে বীর বাহাদুরের মতো বেরিয়ে আসলেন। রোমানদের কেউ বুঝতে পারলো না যে, এই আরব সেনাপতিই সেই মহাবীর খালিদ রাযি. ।

কুলুস ও আযাযীরের মাঝে লটারী হলো, কে প্রথম খালিদের মোকাবেলা করবে। সেনাপতি কুলুসের পক্ষে লটারী উঠলো। কুলুস দোভাষীকে সঙ্গে নিয়ে আরব সেনাপতির দিকে ছুটলো। সে দোভাষীকে বলে রাখল, যখন দেখবে আরব সেনাপতি আমাকে কাবু করে ফেলছে, তখন তুমি তার উপর হামলে পড়বে।

 যাতে তার থেকে মুক্ত হয়ে কোনোভাবে আমরা আজকের দিনটি কাটিয়ে দিতে পারি। আগামীকাল আযাযীর তার মোকাবেলা করবে। দোভাষী উৎসাহ দিয়ে বললো, আমি কথার মাধ্যমে তাকে ভীত সন্ত্রস্ত করে রাখবো।

 মুসলিম সেনা রাফে বিন উমাইরা লক্ষ করলেন, দুই দুইজন ব্যক্তি হযরত খালিদরাযি.-এর উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসছে, তখন তিনিও খালিদ রাযি.-এর সাথে বের হতে চাইলেন। হযরত খালিদ রাযি. তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, তুমি এখানেই থাক, আমি একাই তাদের জন্য যথেষ্ট।

দোভাষী (জারযাস) খালিদ রাখি, কে বললো, হে আরব ভাই! রোমান সম্রাটের স্তম্ভ এই সাহসী বীর আপনার উপর আক্রমণের পূর্বেই আমাকে বলুন, আপনি কী চান? হযরত খালিদ রাযি. সিংহের ন্যায়গর্জে উঠ বললেন, হে আল্লাহর শত্রু! সে যদি রোমান সম্রাটের স্তম্ভ হয়ে থাকে, তাহলে জেনে রাখ, আমি ইসলামের স্তম্ভ, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী, আমি মহাবীর খালিদ বিন ওয়ালিদ।

দোভাষী তাঁর কথা শুনে বুঝে ফেলল যে, এই অশ্বারোহী ব্যক্তিই হলেন রণসিংহ খালিদ বিন ওয়ালিদ রাযি. । ভয়ে তার চেহারা ফেকাসে হয়ে গেল। সাথে সাথে সে পিছন দিকে সরে গেল। কুলুস তাকে ভর্ৎসনা করে বললো, দূর হও হে গর্ধব! শুরুতে তো হিংস্র জন্তুর ন্যায় ফোঁস ফোঁস করছিলে আর এখন ইঁদুরের মতো পিছিয়ে গেলে কেন?

দোভাষী বললো, মাসীহের কসম! আমি জানতাম না, এই আরব সেনাপতি সেই মহাবীর খালিদ বিন ওয়ালিদ। যিনি সমগ্র শামকে ভীতির মধ্যে রেখেছিলেন।

এরপর হযরত খালিদ রাযি. সিংহের ন্যায় সেনাপতি কুলুসের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তার সঙ্গে মল্ল যুদ্ধে অবতীর্ন হলেন। এক পর্যায়ে তাকে অশ্বের জীন থেকে ফেলে দিয়ে পাকড়াও করে বন্দী করে নিয়ে আসলেন। মুসলিম সৈন্যরা আনন্দে সমস্বরে তাকবীর ধ্বনী দিলেন। এটা দেখে দোভাষী জারযাস ভয়ে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পালাল। ৮৮

শিক্ষা : দীনের সেবা গৌরবের বিষয়। সুতরাং দীনের সেবক হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জার কিছু নাই । toptime blogge স্বাগতম

Post a Comment

0 Comments