বিশেষ করে গ্রামে শীতের সকালে ও সন্ধ্যায় বিভিন্ন স্থানে মানুষ আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহায়। গ্রামে সচারাচর এই দৃশ্যগুলো দেখা গেল শহরে দেখা মিলা খুবই ভর। সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়লে সবাই ধীরে ধীরে কর্ম ব্যস্ততায় লিপ্ত হয়ে যায়। শহরের আর গ্রামের শীতের সকাল অনেক ভিন্ন হয়ে থাকে। গ্রামের মানুষ শীত আসলে খুবি ঝাকঝমক ভাবে শীতের উদযাপন করে থাকে। তারা বিভিন্ন ধরনের পিঠা-পুলি বানিয়ে শীতকে বরণ করে।
এই সময় প্রতিটি ঘরে ঘরেই রকমারি শীতের পিঠা তৈরি হয়ে থাকে। যেমনঃ ভাপা, চিতল,পটিসাপ্টা ও গুটা পিঠা আর খেজুরের রস দিয়ে সকাল/সন্ধার রকমারি রসের নাস্তা তৈরি হয়।শীতের মৌসমে মাঠে মঠে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ফলন হয়ে থাকে। যেমনঃ ফুলকপি,পাতাকপি,লাউ,সিম,লাল শাক,পালন শাক, মুলা ইত্যাদি।যা খেতে খুবি পুষ্টিকর ও সুসাদু এবং এই সময় শাক-সবজি খুবি স্বল্প মূল্য পাওয়া যায়।
শীতকালে বাংলাদেশে মানুষের মাঝে আনন্দ থাকলেও তার পাশাপাশি দারিদ্র যারা তাদের কষ্টোও ভোগ করতে হয়।
শীতের কাপড় কিনার সামর্থ না থাকার কারনে কনকনে ঠান্ডা সহ্য করতে হয়। পাতলা চাদর বা কাথা গায় দিয়ে রাত পোহায় তার। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থা থেকে ত্রাণ ও শিতের কাপড় বিতরণ করে থাকে। যার কারনে দারিদ্রের এই কষ্ট কিছুটা হলেও কমে আসছে।
শীতের সময় সবুজ আর কোয়াশার চাদরে ডাকা থাকে আমাদের দেশ। এ জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের শীতের মৌসমটা অনেক ভিন্ন। আর এই সময় বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকও আসে আমাদের দেশে। আসলে আমাদের দেশটা সৌন্দর্যে ভরপুর। এর মধ্য বিশেষ কিছু পর্যটক জায়গার নাম আমাদের পাঠ্য বইয়ে রয়েছে। যেমনঃ বান্দ্রবন,খাগড়াছরি,সেনমার্টিন,সিলেট,জাপলং,বিসনাকান্দি,ও শ্রীমঙ্গল ইত্যাদি।
এসব জায়গায় বিশেষ করে চা-বাগান,পাহার-পরবত,রাবার বাগান,ঝড়না ও ইত্যাদির সমাহার। রাবার বাগানের সাড়ি সাড়ি সাজানো গাছ আর চা-গাছের বিশাল সমুদ্রের সাথে কোয়াশার চাদরে ডাকা সৌন্দর্যই পর্যটকদের সমাহিত করে। বাংলাদেশের শীত আর সৌন্দর্যের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আমরা আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ নিয়ে অনেক গর্ব করি।
সবাইকে শীতের অগ্রীম শুভেচ্ছা, আমাদের TOPTIME সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
Post Writer : Md Murad khan
0 Comments