হজরত হুসাইন রা.-এর হত্যাকারীদের পরিণতিও বড় মর্মান্তিক হয়েছিল। হজরত হুসাইন রা.-এর মর্যাদা সম্পর্কে সব মুসলমানই অবগত আছেন। হজরত হুসাইন রাযি. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাতি ছিলেন।


তিনি সাহাবি। জান্নাতের যুবকদের সরদার। হজরত আলি রাযি. এর কলিজার টুকরা । হজরত ফাতেমা রাযি.-র চোখের মণি। যুহুদ ও তাকওয়ার অনন্য উপমা। তিনি আকৃতিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মতো ছিলেন।


কিন্তু সেদিন বিয়োগান্ত ট্রাজেডির কারবালা প্রান্তরে নাজানি জালেমদের কী হয়েছিল? তারা সব অন্ধ হয়ে গিয়েছিল।


সব বিবেক বুদ্ধিহীন হয়ে গিয়েছিল। যদি অন্ধ না হতো, তাহলে তারা চর্ম চক্ষু দিয়ে দেখত, ইমাম হুসাইন রাযি. এর অবয়ব। যা দেখতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মতো ছিল। যদি বিবেক অকার্যকর না হতো, তাহলে তারা ভাবত ইমাম হুসাইন রাযি. কার সন্তান! কোথা হতে এসেছে এই রক্তের ধারা। কিন্তু জালেমরা সব ভুলে গেল। জালেমরা রক্ত, ধর্ম ও আত্মীয়তার বন্ধনকে ছিন্ন করে নববী পরিবারের ফুটন্ত পুষ্পকে শহিদ করেছিল।


তারপর সেই জালেমদের পরিণতি দেখুন। ইতিহাসের পাতায় নজর বুলান। তাদের কেউ সেই জুলুমের ভয়ংকর পরিণতি থেকে রক্ষা পায় নি। ইমাম ইবনে কাসির রহ. বলেছেন, হযরত হুসাইন রাযি. এর হত্যাকারীদের কেউ এমন ছিল না, কোনো না কোনো আজাবে নিপতিত হয় নি।


কেউ অন্ধ হয়ে গেছে। কেউ ভয়ংকর দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে। কেউ পাগল হয়ে গেছে। কাউকে নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়েছে।