আলবার্ট আইনস্টাইন এমন একটি নাম বিজ্ঞান ইতিহাস থেকে যদি তার নাম মুছে দেওয়া হয়. বিজ্ঞানের উন্নতির শতশত বছর পেছনে চলে যাবে।

 আইনস্টাইন 1879 সালের 14 মার্চ জার্মানির এক ইহুদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পর তিনি তিন বছর পর্যন্ত সে কথা বলতে পারতেন না. 


একটি কথা প্রচুর প্রসিদ্ধ বাল্যকালে সে মোটাদেমাগের ছেলে ছিলেন শৈশব কেটেছে তার মিউনিখে অর্থনৈতিক দৈন্যদশার. 


দরুন তার পিতা-মাতা ওখান থেকে ইতালি চলে গিয়েছিল আইনস্টাইন 1895 সালে শিক্ষার জন্য ইতালি থেকে সুইজারল্যান্ডে চলে যায় সুজারল্যান্ড এর শহরে অবস্থিত ETH ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি ইন্টারভিউ দেয়. কিন্তু সে ইন্টারভিউতে পাশ করতে ব্যর্থ হয় 1900 সালের আগস্টে ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। 


সেখানেও সেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে চতুর্থ হয় এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে সুইজারল্যান্ডের শিক্ষাজীবনে সে কোন মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য ছিলনা. ১৯০০


সালকে আইনস্টাইনের সফলতার বছর হিসেবে মনে করা হয় এই বছরই সে তার গবেষণায় কয়েকটি রচনা পেশ করে প্রথম রচনাটি ছিল জ্যোতির আকৃতি এবং দ্বিতীয়টির রচনা ছিল. ১৯০৫ সালকে আইনস্টাইনের সফলতার বছর হিসেবে মনে করা হয়।  এই বছরই সে তার গবেষণায় কয়েকটি রচনা পেশ করে প্রথম রচনাটি ছিল জ্যোতির আকৃতি এবং দ্বিতীয়টির রচনা ছিল Brownina Motion 

এর মডেল নিয়ে তৃতীয় রচনাটি ছিল


 তাঁর গবেষণার প্রসিদ্ধ E=mc2 এর সমঝোতা নিয়ে তার মধ্যে পার্থক্য এবং সম্ভাবনার পারস্পারিক পরিবর্তন অসম্ভব বলা হয়েছিল অথচ ইতালির এক প্রসিদ্ধ গবেষক এর কয়েক বছর পূর্বে এর দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করছিল চতুর্থ রচনাটি ছিল। Special Theory relativity নিয়ে। এর মাধ্যমে সময় এবং আকাশকে আলাদা আলাদা মনে করার পরিবর্তে সময় আকাশ একই স্থান কাল এর মতবাদ আলোচনায় আসে। ১৯১১ সালে ব্যাপক মতামত সংযোজনের মধ্য দিয়ে পুনরায় রচনা পেশ করে.


মোহাম্মদ ঈসা দাউদ মিশ্রি অত্যান্ত জোর দিয়ে একথা সাব্যস্ত করতে চেয়েছেন যে সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করা কালে দাজ্জালের সাথে তার যোগাযোগ হয় আর দাজ্জালি তাকে থিওরি অফ রিলেইভিটি এর জ্ঞান প্রদান করে. 


মোহাম্মদ ঈসা দাউদের দাবির প্রেক্ষিতে দু ধরনের প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে (১) কোরআন হাদিসের আলোকে এ ধরনের দাবি কি সম্ভব.যে দাজ্জাল তার আত্মপ্রকাশের পূর্বেই মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে (২)

আইনস্টাইনের মধ্যে এমন কোন গুণটি বিদ্যমান ছিল যাতে খুশি হয় দাজ্জাল তাকে হিরো বানিয়ে দেয়. 


প্রশ্নের জবাব পূর্বে বর্ণিত হয়েছে সুতরাং আলবার্ট আইনস্টাইনের ব্যাপারে মোহাম্মদ ঈসা দাউদ এর দাবি মেনে নিতে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো বাধা নেই।  তারপরও দ্বিতীয় প্রশ্নটি বাকি থাকে যে কি এমন বিষয়. যাতে সন্তুষ্ট হয় দাজ্জাল তাকে মতামত দিয়ে উপরে উঠিয়ে দিয়েছে এ প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আমাদেরকে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ও মতামত সমূহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আইনস্টাইন যদিও কঠোর ইহুদি ছিল কিন্তু সে অন্যদের খ্রিস্টান ও মুসলমানদের কে ধর্মহীনতার প্রতি আহ্বান করত ব্যক্তিগতভাবে তার মধ্যে ওই খারাপ গুলো বিদ্যমান ছিল যা ইবলিশ ও দাজ্জাল কে সন্তুষ্ট করার জন্য যথেষ্ট ছিল।


 মেয়েদের সাথে খারাপ সম্পর্ক ১৯০২ সালে তার প্রথম মেয়ের জন্ম হয়েছিল খারাপ সম্পর্কের ইস্ত্রি গর্ভ থেকে পড়ে সেই মেয়েকে সে লালন পালন করল কোন খবর পাওয়া যায়নি যে পরবর্তীতে মেয়ের ভাগ্য কি ঘটেছে। বুঝতেই পারবেন ভদ্রতা এবং সন্তানের প্রতি স্নেহ তার মধ্যে কি পরিমান বিদ্যমান ছিল. 


অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ের১৯১৪ সালে যে যখন তার প্রথম স্ত্রী মিলিভা কে  নিয়ে জার্মানির বার্লিনে চলে যায়। তখন তার দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়। আইনস্টাইন স্ত্রীকে এই শর্তে তার সাথে রাখতে রাজি হয়ে,যে।


( ১) আমার কাপড়-চোপড় এবং বিছানাপত্র ঠিকঠাক ভাবে গুছিয়ে রাখতে হবে।

(২) দুই আমার বেডরুমে দৈনিক তিনবেলা খাবার দিয়ে আসতে হবে।

(৩) আমার পড়া ও স্বয়ং কক্ষ সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে এবং পাঠ্যপুস্তক কোন সময় হাত লাগাতে দিবে না।

(৪) তোমার থেকে আমার যাবতীয় দৈহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন থাকবে তবে হ্যাঁ লোকদেরকে দেখানোর জন্য আমি যখন তোমাকে আহবান করব সাথে সাথে তুমি আমার ডাকে সাড়া দেবে সন্তানদেরকে আমার বিরুদ্ধেও চলবে না।


বার্নিলে চাচাতো বোন ইলশার সাথে আইনস্টাইনের সম্পর্ক গড়ে উঠে কিন্তু আইনস্টাইন বিপাকে পড়ে যায় সে তাকে বিবাহ করবে নাকি তার যুবতী কন্যা কে।  তার ধর্ম সম্পর্কে যতদূর জানা যায় যে সে একজন কট্টর ইহুদি।


ইহুদি ধর্মের দিকে আহবান করেছিলেন সে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি কর্তৃত্বের সম্পূর্ণ পক্ষে ছিল সে হাজার 1921 সালে টিম ওয়াইজম্যানের  ইজরায়েলের প্রথম প্রেসিডেন্ট হয়েছিল সাথে আমেরিকা ভ্রমণ করছিল ওখানে ইহুদি ধর্ম রক্ষার্থে মানুষের কাছে থেকে চাঁদা এবং বিভিন্ন শহরে বক্তিতা পর্যন্ত করছিল এমন কি এক হাজার 1952 সালে. প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য পর্যন্ত প্রস্তাব করা হয়েছিল কিন্তু সে গ্রহণ করেনি. 


পারমানবিক বোমা বানানোর পরিকল্পনা সেই প্রথম আমেরিকাকে দিয়েছিল হাজার 1939 সালে সে তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট এর কাছে চিঠি লিখেছিল যাতে স্পষ্ট ভাষায় সে অনুপমা বানানোর জন্য তাকে উদ্ভিদ ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সে পরোক্ষভাবে আমেরিকাকে সার্বিক সহযোগিতা পাশাপাশি একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে মার্কিন নৌ সেনাদের কে সর্বপ্রকার পরামর্শ প্রদান করেছিল. TOPTIME ব্লগেত সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ।