শহীদ ছাত্রনেতা এএম আসাদুজ্জামানের জৈষ্ঠ ভ্রাতা প্রকৌশলী এফ এম রাশেদুজ্জামান বিগত. ৮ 20 মার্চ. 1969 সালে তারিখে. তদানীন্তন. ঢাকা.মহাকুমা হাকিমের. বাইকে শহীদ আসাদকে মিছিলের বাইরে ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এই মর্মে ঢাকার ডিএসপি বাহা উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান দণ্ডবিধির 302 ধারা মতে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন. 


দক্ষিণ মহকুমা হাকিমের প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট জনাব পি খান অভিযোগ শ্রবন করেন অভিযোগের বিবরণে জনাব রাশেদুজ্জামান বলেন। ছোট ভাই মরহুম আসাদুজ্জামান এম এ ঢাকা সিটি কলেজের ছাত্র রোল নং 251বিগত 20 জানুয়ারি 1969 সনে

ছাত্রের একটি মিছিল চানখারপুলের নিকট সড়ক.কালের রেল সড়ক ছিল পার হয় নাজিমুদ্দিন রোড ধরে দক্ষিণ দিকে চলে যায়. 


রেললাইন অতিক্রম করে গেলে আজাদ মিছিলের শেষ প্রান্ত থেকে 100 গজ উত্তরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পূর্বপাশের ফুটপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি পুলিশের গাড়ির কাছে এসে থামে গাড়ি থেকে পিস্তল হাতে একজন পুলিশ অফিসার অপর কয়েকজন কনস্টেবল দ্রুত নেমে এসে আসাদকে ঘিরে ফেলে প্রত্যক্ষদর্শীদের


সাক্ষ্য মতে পুলিশ অফিসারটি ছিল জনাব বাহাউদ্দিন আহ্মেদ সে মাত্র কয়েক হাত দূরে থেকে আসাদের বুকে গুলি করে এ সময় আসাদ দু হাত উর্ধ্বে তুলে আত্মসমর্পনের কথা জানায়। সকল সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এ সময় পুলিশ আসাদকে গ্রেফতার না করে তাকে হত্যা করে ছাত্র নেতা হত্যা করে আন্দোলন দমানোর পরিকল্পিত নীলনকশার অংশ হিসেবে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে. 


যা আছে সম্পূর্ণরূপে পুলিশের কর্তব্য বহির্ভূত অভিযুক্ত বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান বাদীপক্ষের মামলা পরিচালনা করে এডভোকেট খানবাহাদুর নাজির উদ্দিন আহমেদ অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আহমেদ ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। বিজ্ঞ হাকিম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর এ সিদ্ধান্ত প্রদান করেন যে আসামী একজন সরকারি কর্মচারী এবং কর্তব্য সম্পাদন এর সময় তিনি কাজ করেছেন বিদায় কার্যবিধি 1898 সালে 5 নং আইনের।


197 ধারায় বর্নিত বিধান মতে সরকারের অনুমোদন ব্যতীত তার বিরুদ্ধে রুজুকৃত ফৌজদারী মোকদ্দমার চলতে পারে না এই কারণে 28 4 1969 সালে তারিখে মহকুমা হাকিম.মোকদ্দমাটি খারিজ করে দেন। মোকাদ্দমা খারিজের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধি 203 এবং 435 ধারা মতে বাদী মাননীয় দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন পিটিশন  দায়ের করেন 


মাননীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ ৩য় আদালত ঢাকা বাদীরা আপিল সেবন করেন এবং একই কারণে মামলাটি নাকচ করে দেন। দায়রা আদালতের মাননীয় অতিরিক্ত দায়রা জজের রায় কে চ্যালেঞ্জ করে মহামান্য হাইকোর্টে 691\ 1979 আপিল মামলা রুজু করা হয় হাইকোর্টে আখিল নাকচ করে অতপর মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন পেশ করা হয়। 


বলাবাহুল্য আপিল বিভাগ 03.05.1976 সাল যে রায় প্রদান করে তাতে নিম্ন আদালতের রায়ে সমর্থন করা হয়।

ও সুপ্রিম কোর্টে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ডাক্তার আলিম আল রাজি এবং অ্যাডভোকেট আমিনুল হক সুপ্রিম কোর্টের রায় ঢাকা ল রিপোর্টের 28 নং খন্ডের রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে. সুত্র আসাদ পরিষদ পত্রিকা, আল্লাহ হাফেজ।