মাওলানা তারিক জামিল সাহেব বলেন একবার আমাদের একটি জামাত গেলেন একটি মসজিদে। সবেমাত্র মাগরিবের নামাজ শেষ হয়েছে। এমন সময় এক তরুণী এসে জামাতের এক যুবককে জিজ্ঞেস করল। তুমি কি ইংরেজি জানো? সে বলল হ্যাঁ জানি. মেয়েটি বলল তোমরা এখানে কী করলে. সে বললো আমরা ইবাদত করলাম. মেয়েটি বললো আজ তো রোববার নয় আজ কীসের ইবাদত, সে বলল আমরা দিনে 5 বার আল্লাহ তা'আলার এবাদত করি। মেয়েটি বলল এতো অনেক বেশি তারপর যুবক তাকে ইসলাম সম্পর্কে কিছু ধারণা দিল।

 তার কথাবার্তা শোনার পর মেয়েটি হ্যান্ডশেক করার জন্য তার দিকে হাত বাড়ালো। তখন যুবক বলল আমি আপনার সাথে হাত মিলাতে পারব না। বলে দুঃখিত মেটিয়া সহ্য হলো বলল। কেন যুবক বলে হাত দিয়ে আমি কেবল মাত্র আমার স্ত্রীকে স্পর্শ করব এবং কি করি এটা তার আমানত। তাই এই হাত দিয়ে আমি তাকে ব্যতীত অন্য কোন নারীকে স্পর্শ করতে পারবোনা। মেয়েটি বল্লো এটা কি তোমার ধর্মের বিধান যুবক বলল হ্যাঁ এটাই আমাদের ধর্মের বিধান। আমাদের ধর্মে বেগানা মহিলাদের স্পর্শ এবং কি তাকানো নিয়ম নেই। একথা শুনার সাথে সাথে মেয়েটির চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে পড়ে গেল।

এবং বলতে লাগল তুমি যে মেয়ের স্বামী সে তো মহান ভাগ্যবান। আহা' আমাদের উরুপের পুরুষরাও যদি এমন হতো। প্রিয় পাঠক-পাঠিকা প্রাচ্যের মেয়েরা সত্যিই ভাগ্যবান। কারণ তাদের স্বামীরা একাধিক নারীতে আসক্ত নয়। তারা নিজেদের দেহ মন কে শুধু একজনকে দান করে। মনে করে এই চোখ এই অঙ্গ-প্রতঙ্গ শুধু একজনের জন্যই হৃদয়ের যত ভালোবাসা তা শুধু তাকে উজার করে। দেওয়া সুতরাং এসব মেয়েরা যে দাম্পত্য জীবনে  পাশ্চাত্যের  মেয়েদের চেয়ে অনেক খুশি। একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। আর হ্যাঁ সে সাথে এরা যদি দ্বীনদার হয় পরে হয়। আল্লাহওয়ালা হয়। তবে তো তাদের সুখ শান্তি আর সীমা-পরিসীমা থাকেনা।

হে আল্লাহ তুমি আমাদের প্রতিটি দাম্পত্য জীবনে আখলাক অধিকার হওয়া পাশাপাশি দ্বীনদার বানিয়ে দাও। আর এই জন্য যে মেহনত প্রয়োজন তাও আমাদের করার তৌফিক দান করে দাও। তৌফিক দাও তোমার রাস্তায় বের হয় যেন জানমালের সহি ব্যবহার শিক্ষা করা। আল্লাহ তুমি আমাদের কবুল করুক আমীন। আমাদের TOPTIME ব্লগের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ।