বনু উমাইয়া খেলাফতের যুগের কথা সে যুক্ত ছিল ইসলামের বিজয়ের যোগ। মুসলমানরা সমগ্র পৃথিবীর স্থল ও জল ভাগ কে ইসলামী পতাকা তুলে আনার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল। আব্দুর রহমান ইবনে ফররুখ নামে এক মুজাহিদ সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন একবার তিনি তার স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে যুদ্ধে চলে গেলেন। তখন তার স্ত্রী ছিলেন গর্ভবতী যাবার সময় সে স্ত্রীর কাছে 30 হাজার স্বর্ণমুদ্রা রেখে গেলেন। 

খুরাসানি যুদ্ধে ক্ষেত্রে আব্দুর রহমান ইবনে ফররুখের 30 বছর কেটে গিয়েছিল। যুদ্ধে যাওয়ার সময় তিনি স্বীয় স্ত্রী গর্ভে সন্তান রেখে গিয়েছিলেন সেই সন্তান আজ বড় হয়ে এক মহান ব্যাক্তি হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন। ইমাম মালেক রহঃ হযরত হাসান বসরী রহ প্রমুখের এনে বড় ফকির ইমামগণ তার বিশ্বস্ত গ্রহণ করে ধন্য হয়েছেন। দীর্ঘ 30 বছর পর আব্দুর রহমান বাড়ি ঘিরে আসলেন ফিরে এসে স্ত্রীর কাছে রেখে যাওয়া স্বর্ণমুদ্রা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে স্ত্রী বললেন ঘাবরাবেন না তা জমা আছে। ইতিমধ্যে নামাজের সময় হলে আব্দুর রহমান মসজিদে নববীতে নামাজ পড়তে গেলেন। নামাজ শেষে দেখলেন এক যুবক মানুষের মাঝখানে বসে তালিম দিচ্ছে। 

যাদের মধ্যে খাজা হাসান বসরী রহ এবং ইমাম মালেক রহ এর মতো মহান ব্যক্তি বর্গ রয়েছেন। আব্দুর রহমান এর পাশের একজন কে জিজ্ঞেস করলেন ইনি কে। সে ব্যক্তি জবাব দিলো উনাকে চিনেন না ইনি হলেন মুসলমানদের ইমাম রাবিয়া ইবনে আব্দুর রহমান। এক কথা শুনে সাথে সাথে আব্দুর রহমান ইবনে ফররুখ ফের মনে কি পরিমান আনন্দ দোলা দিল। তা একমাত্র আলেমুল গায়েব আল্লাহপাক ছাড়া আর কেহ বলতে পারেনা। বাবা ছেলের পরিচয় পেয়ে প্রাণভরে ছেলের জন্য দোয়া করলেন। এবং আল্লাহর শোকর আদায় করলেন আব্দুর রহমান ঘরে ফিরে স্ত্রীকে বললেন আজ আমি তোমার ছেলেকে এমন অবস্থা দেখেছি যে অবস্থায় কেউ তার ছেলেকে দেখেন নি।

 স্ত্রী যখন হেসে বললেন ছেলের এ মান মর্যাদা আপনার নিকট পছন্দনীয় না 30000 মুদ্রা। আব্দুর রহমান উত্তর বলেন খোদার কসম সন্তানের এই মান-মর্যাদা আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। স্ত্রী বললেন আপনার রেখে যাওয়া 30 হাজার স্বর্ণমুদ্রা শিক্ষা-দীক্ষার পিছনে ব্যয় করেছি। আবদুর রহমান বলেন খোদার কসম তুমি আমার রেখে যাওয়া মাল সঠিক স্থানে এবং উপযুক্ত খাতে ব্যয় করছ। তোমার মত মহিমা যার আছে সে তো এমনটি হওয়ার স্বাভাবিক আল্লাহ তোমাকে এমন বিনিময় দান করবেন। এমন মায়ের সন্দান কি আর কেও দিতে পারে।