আসসালামু আলাইকুম,বাদশা হারুনুর রশিদ 1 বছর হজে যাওয়ার সময় পথে কয়েকদিন কুফায় অবস্থান করেছিলেন। কুফা থেকে রাজকীয় শাসন শওকতে হযরত বাহলুল পাগল রহমাতুল্লাহ এর স্থানের পাশ দিয়ে যাবার সময় হযরত বাহালুল পাগলা যখন বাদশা হারুনুর রশিদকে দেখলেন তিনি এগিয়ে এসে বাদশাহকে বললেন। হে আমীরুল মুমিনীন আমার থেকে একটি হাদিস শুনে যান।

 হযরত আবদুল্লাহ আমেরি রহমাতুল্লাহ থেকে বর্ণিত আছে এক বছর হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম হজের উদ্দেশ্যে মক্কা শরীফে তাশরীফ নিয়ে গেলেন। তার বাহন এমন অবস্থায় মিনা অতিক্রম করেছিলেন যে তিনি একটি উঠে সর ছিলেন এবং তার দেহ মোবারক এর নিচে ছিল একটি মামুলি চাদর। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরেই শাহী বাহন কোন দুনিয়াবী দেখিয়ে ফত অতিক্রম করেনি তাই এ বাচ্চা হারুনুর রশিদ তুমিও কোন অহংকার ও দাপট হীনভাবে বিনয় সহকারে ফত অতিক্রম কর।

 বাদশা এ হাদিস শোনে কেঁদে দিলেন এবং বললেনঃ হে বাহালুল আরো কিছু নসিহত কর। বাহলুল বলেন হে আমীরুল মুমিনীন যে ব্যক্তি কে আল্লাহ তাআলা ধন দৌলত ও সৌন্দর্য দান করেছেন সে যদি সেই ধন দৌলত থেকে আল্লাহর পথে খরচ করে এবং সৌন্দর্য কে কালিমা মুক্ত রাখে। তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে তার মকবুল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। বাদশা হারুনুর রশিদ বলেন হে বাহালুল খুবই সুন্দর কথা বলেছো পুনরায় বললেন হে বাহালুল তোমার কাছে যদি কারো কর্জ থাকে আমাকে বল আমি আদায় করে দেব।

 বাহলুল বলল কর ধার্য কি করে আদায় হতে পারে উত্তম হচ্ছে তোমরা উপর আল্লাহ যে কর্য আছে সেটা আদায় করার চিন্তা ভাবনা করো। বাদশা হারুনুর রশিদ বলেন আচ্ছা তোমার নামে কোন জায়গা জমি বন্দোবস্ত করে দেব বাহলুল আসমানের দিকে মুখ উঠিয়ে বললেন। হে আমীরুল মুমিনীন আমি আপনি সবাই আল্লাহর বান্দা তাই এটা কি করে হতে পারে যে আল্লাহ এক বান্দাকে স্মরণ রাখে এবং অন্য বান্দাকে ভুলে যায়।