ফাঁসির মঞ্চে প্রেমের পরীক্ষা,

ফাঁসির মঞ্চে প্রেমের পরীক্ষা,


1933 খ্রিস্টাব্দে করাচির হায়দ্রাবাদে থেকে জনক নাথুরাম নামে এক হিন্দু হিস্ট্রি অফ ইসলাম নামক একটি বই প্রকাশ করে।এতে সেই দূর আত্ন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র চরিত্রে অত্যান্ত জঘন্য অপবাদ আরোপ করে।
ফলে এই বইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। 

ব্রিটিশ আইনে লেখক এর দুই বছর জেল এবং মামুলি ধরনের জরিমানা হয়।হিন্দুরা কে শাস্তির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করে উচ্চ আদালতে আপিল শুনানি সাপেক্ষে দুর্বৃত্ত নাথুরাম কে জামিন মুক্ত করে দেয়।এতে মুসলিম সমাজে নেতাগণ ক্ষোভে দুঃখে একেবারে ভেঙ্গে পড়েন। এরপর তারা হিন্দুদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করলেন,

আর যারা জেলার 23-24 বছর বয়স্ক এক যুবক করাচির সদর এলাকায় চাচার সাথে বাস করতেন চাচার ছিল মোটরগাড়ি মেরামতের ব্যবসা যুবকের নাম আব্দুল কাইয়ুম তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক এবং শান্ত প্রকৃতির জীবিকার জন্য তিনি গাড়ি চালানো শিখা করেছিলেনএকদিন সদর জামে মসজিদে নামাজ আদায় করার পর তিনি ইমাম সাহেবের ওয়াজ শুনতে পেলেন শুনলেন। পেয়ারা  নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ঘৃণা অপবাদ অপবাদ আর অফ করে সমগ্র মুসলিম উম্মার ঈমানী চেতনা ক্ষতবিক্ষত করেছে গাজী আব্দুল কাইয়ুম ইমাম সাহেবের ওয়াজ শোনার পর মনে মনে ভাবলেন প্যারা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন সচেতন উম্মত কি বেঁচে নেই থাকলে কোন সাহস হিন্দু দুর্বৃত্ত এমন ঘৃণ্য দুঃসাহস দেখায়,

কথা কয়টি ভাবতে ভাবতেই তিনি তার কর্তব্য স্থির করে ফেললেন অত্যন্ত তিনি নিজে বুকের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও ওদের দেখিয়ে দেবেন আল্লাহর পেয়ারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উম্মত ভক্ত এখনো বেঁচে আছে তার পবিত্র মর্যাদার কাঁথি জান কোরবান করার মত
লোকের এখনো অভাব হয়নি মনে মনে কর্তব্য এসছি ও করেই গাজী আব্দুল কাইয়ুম মসজিদ থেকে বের হয়ে সামান্য কটা টাকা দিয়েই বাজার থেকে ধারালো একটি ছুরি ক্রয় করে নিলেন।

হাজার1934 খ্রিস্টাব্দে সেপ্টেম্বর মাসে 11 তারিখ দুজন ইংরেজদের উচ্চ আদালতে নাথুরামের আপিল শুনানি গ্রহণ করেছেন আদালত প্রাঙ্গন লোকে লোকারণ্য আইনজীবী ও মামলার তদবির কারক গণের ধারা আদালতে কক্ষ পরিপূর্ণ বিচারপতিগণ আইনজীবীর পক্ষ থেকে বক্তব্য শোনেন
গাজী আব্দুল কাইয়ুম ধীর শান্ত পদক্ষেপে আদালত কক্ষে প্রবেশ করলেন প্রথমে তিনি আইনজীবিদের শাড়ির পিছনে দর্শকদের সাথে একটি চেয়ারে বসলেননাথুরাম কে তিনি চিনতে না তাই মামলার কার্যধারা লক্ষ্য করে তিনি প্রথম তার শিকার ঠিকমতো শনাক্ত করে নিলেন দেখলেন বিশাল দেহী সেই পাত্র তার পাশের সিটে বসে আছে।

ধীর শান্ত ভাবে তিনি একবার নাথুরামের আপদ মস্তক দেখে নিলেন
বেশ কিছুক্ষণ পর জো সাহেবের কি একটা প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য নাথুরাম উঠে দাঁড়িয়েছিলেন গাজী আব্দুল কাইয়ুম লক্ষ করলেন এই তো সুযোগ তিনি ক্ষিপ্ত বাঘের নে উঠে দাঁড়ালেন এবং চোখের পলক ফাস্ট নাথুরামের কন্ঠনালী বরাবর তীক্ষ্ণ ছুরি বসিয়ে দিলেন,

ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটলো কিন্তু তিনি থাকলেন না শরীর টেনে বের করলেন এবং একের পর এক আরো দুটি অব্যর্থ আঘাত করে বিশালদেহী নাথুরাম কে একেবারে ধরাশায়ী করে তারপর থামলেন নাথুরাম এর আদ্র চিৎকারে আদালত ভবন প্রকম্পিত হয়ে উঠলেন কামরা ভর্তি লোকজন যেন কিছুক্ষনের মধ্যেই স্তব্ধ হয়ে গেল কিন্তু গাজী আব্দুল কাইয়ুমের মধ্যে কোনো পরিবর্তন দেখা গেল না প্রচুর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি পালাতে চেষ্টা করলেন না রক্তমাখা
শাড়ীটা হাতে নিয়েই তিনি ধীর শান্ত ভাবে নিজেকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন,

গাজী আব্দুল কাইয়ুম পুলিশের হেফাজতে চলে যায় চলে যাওয়ার পর ইংরেজি আসন ছেড়ে নেমে এলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন তুমি এই লোকটাকে কেন খুন করছো গাজী আব্দুল কাইয়ুম দেওয়ালে ঝোলানো পঞ্চম জর্জের ছবিটি ইশারা করে বললেন এটা তো তোমাদের রাজার ছবি কেউ যদি এই রাজা কে অপমান করে তবে তোমরা কি তাকে মৃত্যুর সাজা দেবে না এ দুরত্ব আমার হৃদয়ে রাজ্যর শাহানশাহ আল্লাহর পেয়ারা হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি এমন অবমাননা সব করাকর শব্দ ব্যবহার করেছে যা আমরা ঈমানী চেতনা সহ করতে পারি নাই তাই আমি ওড় নাফাক অস্তিত্ব দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়েছি।



Post a Comment

0 Comments